ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিতে বিশ্ব নেতৃত্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের (বামাসপ) নেতারা।

মঙ্গলবার পরিষদের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল অধিকারী যৌথ এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ, উখিয়া, শাহপরী দ্বীপ প্রভৃতি এলাকায় জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার আগমনের ফলে এসব অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে স্থানীয়রা যেমনি উৎকণ্ঠায় মধ্যে রয়েছে তেমনিভাবে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়ের জন্য আসা রোহিঙ্গারাও মানবেতর জীবনযাপন করছে। মানবিক বিবেচনায় এসব সহায়-সম্বলহীন অসহায় মানুষগুলোকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করে সরকার যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা বিশ্ব দরবারে প্রশংসার দাবি রাখে। এখন এসব রোহিঙ্গার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, রোহিঙ্গারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য সমস্যায় করুণ পরিস্থিতির মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষিপ্তভাবে মানবিক সহায়তার হাত না বাড়িয়ে জেলা পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট ত্রাণ ও তহবিল সেন্টার চালু করা হলে সেখানে সবাই যে যার মতো ত্রাণ রেখে গেলে সেগুলো পরিকল্পনামাফিক দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে।

শিশু, নারী ও বয়স্ক লোকদের দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টি করতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ না করে সহনশীলতার সঙ্গে এসব মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বিবেচনা করে স্থানীয়দের পাশে থাকতে হবে।

বামাসপ মনে করছে, রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করার মিয়ারমারের কোনো অধিকার নেই। তাদের মিয়ানমার সরকারকেই নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে নিজেদের দেশে তারা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে অবিলম্বে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বড়াতে হবে।

নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সুচির ভূমিকা মানবতা ও বিশ্ব শান্তির বিরোধী। তার আচরণকে ধিক্কার জানায় বামাসপ।

মানবিক কারণে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপ বৃদ্ধিসহ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোড়ালো ভূমিকা রাখার জন্যও বামাসপ আহ্বান জানায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিতে বিশ্ব নেতৃত্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের (বামাসপ) নেতারা।

মঙ্গলবার পরিষদের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল অধিকারী যৌথ এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ, উখিয়া, শাহপরী দ্বীপ প্রভৃতি এলাকায় জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার আগমনের ফলে এসব অঞ্চলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে স্থানীয়রা যেমনি উৎকণ্ঠায় মধ্যে রয়েছে তেমনিভাবে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়ের জন্য আসা রোহিঙ্গারাও মানবেতর জীবনযাপন করছে। মানবিক বিবেচনায় এসব সহায়-সম্বলহীন অসহায় মানুষগুলোকে সাময়িক আশ্রয় দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করে সরকার যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা বিশ্ব দরবারে প্রশংসার দাবি রাখে। এখন এসব রোহিঙ্গার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, রোহিঙ্গারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য সমস্যায় করুণ পরিস্থিতির মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষিপ্তভাবে মানবিক সহায়তার হাত না বাড়িয়ে জেলা পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট ত্রাণ ও তহবিল সেন্টার চালু করা হলে সেখানে সবাই যে যার মতো ত্রাণ রেখে গেলে সেগুলো পরিকল্পনামাফিক দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে।

শিশু, নারী ও বয়স্ক লোকদের দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টি করতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ না করে সহনশীলতার সঙ্গে এসব মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বিবেচনা করে স্থানীয়দের পাশে থাকতে হবে।

বামাসপ মনে করছে, রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করার মিয়ারমারের কোনো অধিকার নেই। তাদের মিয়ানমার সরকারকেই নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে নিজেদের দেশে তারা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে অবিলম্বে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বড়াতে হবে।

নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সান সুচির ভূমিকা মানবতা ও বিশ্ব শান্তির বিরোধী। তার আচরণকে ধিক্কার জানায় বামাসপ।

মানবিক কারণে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপ বৃদ্ধিসহ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোড়ালো ভূমিকা রাখার জন্যও বামাসপ আহ্বান জানায়।